flag

flag
Dooars Day, Ours Day.

ডুয়ার্স ডে উদযাপনে যেসব অনুষ্ঠান করা যেতে -


ডুয়ার্স ডে উদযাপনে যেসব অনুষ্ঠান করা যেতে পারে -

১)    আলোক উৎসব- স্থানীয় মানুষজনের কাছে অনুরোধ করা হবে তাঁরা যেন ১৪ই জানুয়ারী ২০২৫ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নিজেদের বাসস্থান, অফিস, ক্লাব, মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার, বৌদ্ধমন্দির আর সব প্রতিষ্ঠান মোমবাতি-দীপ-প্রদীপ বা বৈদ্যুতিক বাতির সাহায্যে আলোকিত রাখেন।

২)    রাখী বন্ধন- বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের মধ্যে রাখীবন্ধন উৎসব পালন। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ রাখি বন্ধন উৎসব করেছিলেন। কবির সেই  দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে মানুষ-মানুষের মেলবন্ধন সুদৃঢ় করতে চাই।

৩)    জাতীয় পতাকা উত্তোলন- বেলা ১৪ই জানুয়ারী ২০২৫ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় ডুয়ার্সের সর্বত্র ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তেলন করা হবে।

৪)    উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা- আপনাদের এলাকায় কী কী ধরনের শিল্পস্থাপন করা যেতে পারে বা আপনাদের এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা।

৫)    ডুয়ার্স সচেতনতা পদযাত্রা- প্লাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে স্থানীয়স্তরে পদযাত্রা। ‘‘ডুয়ার্সের অরণ্য-বন/করবো মোরা সংরক্ষণ’’- এ ধরনের শ্লোগান তাতে লেখা থাকতে পারে।

৬)    ক্রীড়া প্রতিযোগিতা- মহিলাদের জন্য লুডো প্রতিযোগিতা, ছেলেদের জন্য- ক্যারাম প্রতিযোগিতা, একদিনের ফুটবল প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন জাতি-ধর্মের মানুষদের নিয়ে প্রদর্শনীমূলক ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা।

৭)    বসে আঁকো প্রতিযোগিতা- ডুয়ার্সের অরণ্য, প্রকৃতি, লোকসংস্কৃতি নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। বসে আঁকো প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের শ্রেণীর ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

৮)    সংস্কৃতি সাজ প্রতিযোগিতা- ভিন্ন ভাষা বা ধর্মীয় সংস্কৃতির সাজে প্রতিযোগিদের সাজতে  হবে।

আপনাদের ওখানে কী কী অনুষ্ঠান হবে ও তা কীভাবে হবে সেটা স্থানীয় স্তরে আপনারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন- সেটাই চুড়ান্ত। এটা নিছক একটি গাইড লাইন মাত্র। তবে আমরা চাই ডুয়ার্সের বিভিন্ন স্থানে হওয়া অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি  মৌলিক সাদৃশ্য থাকুক। সে ভাবনাতেই এই গাইড লাইনটি তৈরি করা হয়েছে। 


ডুয়ার্স ডে উদযাপনের জন্য যা আমাদের করতে হবে-

১) প্রতিটি ব্লকস্তরে একটি সভার আয়োজন করে সেখানে একটি ‘ডুয়ার্স ডে’ উদযাপন ব্লকসমিতি গঠন করতে হবে। এই সভায় যাতে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরা অংশ নেন সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

ডুয়ার্সে ওদলাবাড়ি থেকে কুমারগ্রাম অর্থাৎ তিস্তা থেকে সঙ্কোশ এলাকায় তিনটি জেলা রয়েছে - কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। এই এলাকার বিভিন্ন ব্লকগুলি হল কালিম্পং জেলার গোরুবাথান;   জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, মাল, মেটিয়ালি, নাগরাকাটা ও ক্রান্তি;   আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার-১, আলিপুরদুয়ার-২, ফালাকাটা, কালচিনি ও কুমারগ্রাম। 

২) সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক(বিডিও) কে মূল আহ্বায়ক করে একটি সভা ডাকা হবে।  পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিচালক সমিতির সম্পাদক- সভাপতি, থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, স্থানীয় ক্লাবগুলির সম্পাদক- সভাপতি, স্থানীয় চিকিৎসক, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক-সভাপতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সাংবাদিক ও আর সব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই সভায় আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

৩) সমিতি গঠনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে সমিতিতে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও ধর্মের মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকে। 

৪) ডুয়ার্স ডে উদযাপন সমিতিতে ব্লকস্তরে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক(বিডিও)  সভাপতি, একজন কার্যকরী সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, তিনজন সহ সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ, সাতজন বা এগারোজন নির্বাহী সদস্য (এক্সিকিউটিভ মেম্বার) থাকবে। এছাড়াও বহু সংখ্যক সাধারণ সদস্য ও উপদেষ্টা সদস্য থাকতে পারে।

৫) প্রতিটি ব্লকস্তরে গঠিত হওয়া সমিতির দু’জন করে প্রতিনিধি নিয়ে ডুয়ার্সভিত্তিক মূল কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে। যে সমিতির কাজ হবে বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে সমন্বয় ঘটানো ও অনুষ্ঠানগুলি সফল করার জন্য সব এলাকার মানুষকে সর্বতভাবে সাহায্য করা। 

৬) স্থানীয়স্তরে সমিতি গঠনের কাজ শেষ করতে হবে ৩০শে নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যেই। কেন্দ্রীয় কমিটি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। স্থানীয় স্তরে সমিতি গঠনের ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে আপনারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

  

No comments

" সাগাই হামার বাড়িত আসিয়া যান, শুটকা- সিদল খায়য়া যান"।

  " সাগাই হামার বাড়িত আসিয়া যান, শুটকা- সিদল খায়য়া যান"।                    -বলাই চন্দ্র দাস। সিদল উত্তর বঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ে...

Powered by Blogger.